শবে বরাত,শবে বরাত কি? কেন বিদাআত।শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

  শবে বরাত,শবে বরাত কি? কেন বিদাআত।শবে বরাত কেন পালন করা হয়
শবে বরাত,শবে বরাত কি? কেন বিদাআত।শবে বরাত কেন পালন করা হয়


শবে বরাত,

নিসফে শাবান‎ বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা'বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন।


শবে বরাতের নামাজ নিয়ম কত রাকাত?


শবে বরাতের নামাজ দু'রাকাত করে যত বেশী পড়া যায় তত বেশী ছওয়াব। নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ। এই ভাবে কম্পক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম।


শবে বরাতের নামাজ কি সুন্নত না নফল?
শবে বরাতের নফল নামাজ ও ইবাদত


বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ।


শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত


মুসলিম ভাই ও বোনেরা শবেবরাতে নির্দিষ্ট কোন নামাজ নেই এবং নির্দিষ্ট কোন কয় রাকাত নামাজ তাও নেই কিন্তু আমাদের সমাজে এগুলো করে থাকে।। একবারে 100 রাকাত নফল, 2 রাকাত পড়ুন - প্রতি রাকাতে সূরা আল-ফাতিহার পর 10 বার সূরা আল-ইখলাস পড়ুন। এই সালাত সালাতুল খায়ের নামে পরিচিত। সঠিক হাদিস অনুযায়ী এগুলো সম্পূর্ণ বিদাআত


শবে বরাতের নামাজের নিয়ত কিভাবে করে?


১২ রাকাত নফল নামাজ দু'রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে, ১০ বার কলমা তওহীদ, ১০ বার কলমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ। ১৪ রাকাত নফল নামাজ দু'রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফযীলতঃ যে কোন দু'আ চাইলে তা কবুল হবে।



শবে বরাতের নামাজ কি কি


সালাত উল খায়ের শবে বরাতের নামাজ নামেও পরিচিত। 100 রাকাত নওয়াফিল অফার করুন। প্রতিটি নওয়াফিলে সূরা ফাতিহার পর ১০ বার সূরা ইখলাস পড়বেন। মুসলমানরা তাদের জীবনে কল্যাণ অর্জনের জন্য এই নওয়াফিলগুলি অর্পণ করে।


শবে বরাত কেন ফজিলতপূর্ণ, এই রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়?


আমল পরিপালনের ক্ষেত্রে ইসলামে মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা আমলে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো, বাড়াবাড়ি করো না। সকাল-সন্ধ্যায় (ইবাদতের জন্য) বের হয়ে পড়ো এবং রাতের কিছু অংশেও। তোমরা অবশ্যই পরিমিতি রক্ষা করো। তাহলে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৬৪৬৩)


শবে বরাতে কি ভাগ্য লেখা হয়?


অনেকে বিশ্বাস করেন, ফজিলতপূর্ণ এ রাতে সৃষ্টিকুলের ভাগ্য লেখা হয়। এক্ষেত্রে তারা পবিত্র কোরআনের এই আয়াতটি প্রমাণ হিসেবে পেশ করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয়ই আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি।’ (সুরা দুখান, আয়াত: ১-৫)। আয়াতে উল্লেখিত ‘বরকতময় রাত’কে ইকরিমা (রহ.)-সহ কয়েকজন তাফসিরবিদ ‘শবে বরাত’ দাবি করেছেন। তবে পবিত্র কোরআনের অন্য দুটি আয়াতের দিকে নজর দিলে খুব সহজেই স্পষ্ট হয় যে–এখানে ‘বরকতময় রাত’ দ্বারা শবে বরাত নয়; বরং শবে কদরকে বোঝানো হয়েছে।


কারণ, আমরা জানি–পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে রমজান মাসে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারিরূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি এটি (কোরআন) নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে।’ (সুরা আল কদর, আয়াত : ১)


শবে বরাতে কি ভাগ্য লেখা হয়?শবে বরাত 2023
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
শবে বরাত কবে
শবে বরাত ২০২২
শবে বরাতের ফজিলত
শবে বরাত কি বিদআত


শবে বরাতের ইতিহাস


শবে বরাত পালনের প্রচলন হয় হিজরি ৪৪৮ সনে। ফিলিস্তাইনের নাবলুস শহরের ইবনে আবিল হামরা নামে একবায়তুল মুকাদ্দাস আসেন। তার তিলাওয়াত ছিল সুন্দর ও মধুর। তিনি শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাজে দাঁড়ালে, তাঁর পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ান। তার পরে তাঁর সঙ্গে তৃতীয় জন এসে যোগ দেন। এর পরে চতুর্থ জন। তিনি নামাজ শেষ করার আগেই বিরাট একদল লোক এসে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। পরবর্তী বছর এলে, তাঁর সঙ্গে অনেকেই যোগ দেন ও নামাজ আদায় করেন। এতেই মাসজিদুল আক্‌সাতে এই নামাজের প্রথা চালু হয়। কালক্রমে অনেকেই একে সুন্নাত মনে করতে শুরু করেন।


কোথায় কোথায় শবে বরাত পালন করা হয়


ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় গোটা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া জুড়ে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আজারবাইজান, তুরস্ক, উজবেবিস্তান, তাজাকিস্তান, কাজাকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, কিরগিজস্তান জুড়ে চলে শবে বরাতের উৎসব। আরব বিশ্বে কেবলমাত্র সুফি ঐতিহ্যের আরব ও শিয়া মুসলিমরা এই উৎসব পালন করেন। স্থানভেদে এই উৎসব ভিন্ন নামে পরিচিত। ইরান ও আফগানিস্তানে নিম শাবান, তুরস্কে বিরাত কান্দিলি, ভারতীয় উপমহাদেশে শবে বরাত বা নিফসু শাবান।


হাদিস২০২২পবিত্র2022আমললাইলাতুলশবে মেরাজবরাত কবেবরাতের শুভেচ্ছাশবে কদরেরবরাত কত তারিখেবরাতের ফজিলতলাইলাতুল বরাতshab e barat


আগামী ৭ মার্চ পবিত্র শবে বরাত - 
পবিত্র শবে বরাতের তারিখ ৭ মার্চ, সরকারি ছুটি ৮ মার্চ ২০২৩ - Shab e Barat  2023
পবিত্র শবে বরাতের তারিখ ৭ মার্চ, সরকারি ছুটি ৮ মার্চ ২০২৩ - Shab e Barat 2023
পবিত্র শবে বরাত আজ | শিরোনাম | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
পবিত্র শবে বরাত আজ | শিরোনাম | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
শবে বরাত কবে ২০২৩ | শবে বরাতের ইবাদত ও ফজিলত
শবে বরাত কবে ২০২৩ | শবে বরাতের ইবাদত ও ফজিলত
শবে বরাত 2023 শবে বরাত কত তারিখে ২০২৩ আপডেট 
পবিত্র শবে বরাত নিয়ে কিছু আলোচনা এবং বৈধতার দলিল
শবে বরাত ব্যানার ডিজাইন।। shab e barat 2023 banner design
পবিত্র শবে বরাত কবে, জানালো চাঁদ দেখা কমিটি
শবে বরাত: ফজিলত, আমল ও বিদআত