আটটি জান্নাতের নাম।জান্নাত কি? এর স্তর কয় টি ও কি কি?
আটটি জান্নাতের নাম
কেউ কেউ আটটি জান্নাতের নাম উল্লেখ করলেও আসলে সে নামগুলি সকল জান্নাতেরই গুণবাচক নাম। অবশ্য কোন কোন জান্নাতের নাম স্পষ্টতঃ উল্লেখ হয়েছে। যার বিবরণ নিম্নরূপঃ
ফিরদাউসঃ
এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেছেন,
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا (107) خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا (108)
অর্থাৎ, নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে ফিরদাউসের উদ্যান। সেথায় তারা স্থায়ী হবে; এর পরিবর্তে তারা অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়া কামনা করবে না। (কাহ্ফঃ ১০৭-১০৮)।
الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
অর্থাৎ, অবশ্যই বিশ্বাসিগণ সফলকাম হয়েছে। যারা ... তারাই হবে উত্তরাধিকারী। উত্তরাধিকারী হবে ফিরদাউসের; যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। (মু'মিনূনঃ ১-১১)।
আনাস (রাঃ) বলেন, উম্মে রুবাইয়ে’ বিন্তে বারা’ যিনি হারেষাহ ইবনে সূরাকাহর মা, তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে হারেষাহ সম্পর্কে কিছু বলবেন না? সে বদরের দিনে খুন হয়েছিল। যদি সে জান্নাতী হয়, তাহলে ধৈর্য ধারণ করব, অন্যথা তার জন্য মন ভরে অত্যাধিক কান্না করব।' তিনি বললেন, “হে হারেষার মা! জান্নাতের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের জান্নাত আছে। আর তোমার ছেলে সর্বোচ্চ ফিরদাউস (জান্নাতে) পৌছে গেছে।” (বুখারী)
মহানবী (ﷺ) বলেন, “অবশ্যই জান্নাতে একশ’টি দরজা (মর্যাদা) রয়েছে, যা আল্লাহ তার পথে জিহাদকারীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন; দুটি দরজার মধ্যবর্তী ব্যবধান আসমান ও জমিনের মত। সুতরাং তোমরা (জান্নাত) চাইলে ফিরদাউস’ চেয়ো। কারণ তা হল জান্নাতের মধ্যভাগ ও জান্নাতের উপরিভাগ, আর তার উপরে রয়েছে রহমানের আরশ।” (বুখারী ২৭৯০ নং)
আদ্নঃ
‘আদন’ মানে চিরস্থায়ী। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۖ لَهُمْ فِيهَا مَا يَشَاءُونَ ۚ كَذَٰلِكَ يَجْزِي اللَّهُ الْمُتَّقِينَ
অর্থাৎ, ওটা স্থায়ী জান্নাত যাতে তারা প্রবেশ করবে; ওর নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত; তারা যা কিছু কামনা করবে তাতে তাদের জন্য তাই থাকবে; এভাবেই আল্লাহ সাবধানীদেরকে পুরস্কৃত করেন। (নাহলঃ ৩১)
أُولَٰئِكَ لَهُمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهِمُ الْأَنْهَارُ يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٍ وَيَلْبَسُونَ ثِيَابًا خُضْرًا مِّن سُندُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُّتَّكِئِينَ فِيهَا عَلَى الْأَرَائِكِ ۚ نِعْمَ الثَّوَابُ وَحَسُنَتْ مُرْتَفَقًا
অর্থাৎ, তাদেরই জন্য আছে স্থায়ী জান্নাত; যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেথায় তাদেরকে স্বর্ণ-কঙ্কণে অলঙ্কৃত করা হবে, তারা পরিধান করবে সুক্ষ ও স্থূল রেশমের সবুজ বস্ত্র ও সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে; কত সুন্দর সে পুরস্কার ও কত উত্তম সে আশ্রয়স্থল। (কাহফঃ ৩১)
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٍ وَلُؤْلُؤًا ۖ وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا حَرِيرٌ
অর্থাৎ, তারা প্রবেশ করবে স্থায়ী জান্নাতে, যেখানে তাদের স্বর্ণ-নির্মিত কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাকপরিচ্ছদ হবে রেশমের। (ফাত্বিরঃ ৩৩)
جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدَ الرَّحْمَٰنُ عِبَادَهُ بِالْغَيْبِ ۚ إِنَّهُ كَانَ وَعْدُهُ مَأْتِيًّا
অর্থাৎ, সেই স্থায়ী জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি পরম দয়াময় নিজ দাসদেরকে অদৃশ্যভাবে দিয়েছেন; নিশ্চয় তার প্রতিশ্রুত বিষয় অবশ্যম্ভাবী। (মারয়ামঃ ৬১)
এ ছাড়া আরো বহু আয়াতে এ জান্নাতের কথা উল্লিখিত হয়েছে।
মহানবী (ﷺ) স্বপ্নে আদ্ন জান্নাত দর্শন করেছেন। (বুখারী)
তিনি বলেছেন, “দু’টি জান্নাত চাদির, তার পাত্র ও সবকিছু চাদির। দু’টি জান্নাত সােনার, তার পাত্র ও সবকিছু সােনার। আদ্ন জান্নাতে (জান্নাতী) লোকেদের দীদার ও তাদের প্রতিপালকের মাঝে কেবল তার চেহারার উপর গৌরবের চাদর থাকবে।” (বুখারী-মুসলিম)
খুলদঃ
খুলদ’ মানেও চিরস্থায়ী। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ أَذَٰلِكَ خَيْرٌ أَمْ جَنَّةُ الْخُلْدِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۚ كَانَتْ لَهُمْ جَزَاءً وَمَصِيرًا
অর্থাৎ, ওদেরকে জিজ্ঞাসা কর, এটিই শ্রেয়, না স্থায়ী বেহেশ্ত; যার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সাবধানীদেরকে?’ এটিই তো তাদের প্রতিদান ও প্রত্যাবর্তনস্থল। (ফুরক্বান : ১৫)
সাহাবী ইবনে মাসউদ দুআয় বলেছিলেন,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ إِيمَانًا لا يَرْتَدُّ , وَنَعِيمًا لا يَنْفَدُ , وَمُرَافَقَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَعْلَى غُرَفِ جَنَّةِ الْخُلْدِ
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অটল ঈমান চাই, অফুরন্ত নেয়ামত চাই এবং আদন জান্নাতের সবার উপরে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সঙ্গ চাই। (সিঃ সহীহাহ ২৩০ ১নং)।
নাঈমঃ
নাঈম’ মানে সম্পদশালী, সুখময়। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ يَهْدِيهِمْ رَبُّهُم بِإِيمَانِهِمْ ۖ تَجْرِي مِن تَحْتِهِمُ الْأَنْهَارُ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করেছে এবং ভাল কাজ করেছে তাদের প্রতিপালক তাদের বিশ্বাসের কারণে তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন, শান্তির উদ্যানসমূহে তাদের (বাসস্থানের) তলদেশ দিয়ে নদীমালা প্রবাহিত থাকবে। (ইউনুসঃ ৯)
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتُ النَّعِيمِ
অর্থাৎ, নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে সুখের উদ্যানরাজি। (লুকমানঃ ৮)
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتِ النَّعِيمِ
অর্থাৎ, আল্লাহভীরুদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট অবশ্যই ভোগ-বিলাসপূর্ণ জান্নাত রয়েছে। (ক্বালামঃ ৩৪)
ইব্রাহীম (আঃ) এই জান্নাত চেয়ে দুআ করে বলেছিলেন,
وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
অর্থাৎ, আমাকে সুখকর (নাঈম) জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। (শুআরাঃ ৮৫)
মা’ওয়াঃ
‘মা’ওয়া মানে ঠিকানা। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
أَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ جَنَّاتُ الْمَأْوَىٰ نُزُلًا بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থাৎ, যারা বিশ্বাস করে সৎকাজ করে তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য জান্নাত হবে তাদের বাসস্থান। (সাজদাহঃ ১৯)
وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَىٰ (13) عِندَ سِدْرَةِ الْمُنتَهَىٰ (14) عِندَهَا جَنَّةُ الْمَأْوَىٰ (15)
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল। সিদরাতুল মুনতাহার নিকট। যার নিকট অবস্থিত (জান্নাতুল মাওয়া) বাসােদ্যান। (নাজমঃ ১৩-১৫)
দারুস সালামঃ
দারুস সালাম’ মানে শান্তিনিকেতন। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
لَهُمْ دَارُ السَّلَامِ عِندَ رَبِّهِمْ ۖ وَهُوَ وَلِيُّهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থাৎ, তাদের প্রতিপালকের নিকট তাদের জন্য রয়েছে শান্তির আলয় এবং তারা যা করত, তার কারণে তিনি হবেন তাদের অভিভাবক। (আনআমঃ ১২৭)।
وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَىٰ دَارِ السَّلَامِ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
অর্থাৎ, আল্লাহ (মানুষ)-কে শান্তির আবাসের দিকে আহবান করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন। (ইউনুসঃ ২৫)।
দারুল মুক্বামাহঃ
দারুল মুক্বামাহ’ মানে স্থায়ী। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
الَّذِي أَحَلَّنَا دَارَ الْمُقَامَةِ مِن فَضْلِهِ لَا يَمَسُّنَا فِيهَا نَصَبٌ وَلَا يَمَسُّنَا فِيهَا لُغُوبٌ
অর্থাৎ, যিনি নিজ অনুগ্রহে, আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দান করেছেন; যেখানে আমাদেরকে কোন প্রকার ক্লেশ স্পর্শ করে না এবং স্পর্শ করে না। কোন প্রকার ক্লান্তি।' (ফাত্বিরঃ ৩৫)
রাইয়ানঃ
‘রাইয়ান’ মানে তৃষ্ণাহীন। তৃষ্ণা ও পিপাসায় যারা কষ্ট পেয়েছে, তাদেরকে এই জান্নাত দেওয়া হবে। এ জান্নাত সম্বন্ধে নবী (ﷺ) বলেন, জান্নাতের এক প্রবেশদ্বার রয়েছে, যার নাম ‘রাইয়ান। কিয়ামতের দিন ঐ দ্বার দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউই ঐ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করবে না। রোযাদারগণ প্রবিষ্ট হয়ে গেলে দ্বার রুদ্ধ করা হবে। ফলে সে দ্বার দিয়ে আর কেউই প্রবেশ করবে না।” (বুখারী ১৮৯৬ নং, মুসলিম ১১৫২ নং, নাসাঈ, তিরমিযী)।
আদ-দারুল আ-খিরাহঃ
‘আদ-দারুল আ-খিরাহ’ মানে পরকালের আবাস। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَعِبٌ وَلَهْوٌ ۖ وَلَلدَّارُ الْآخِرَةُ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ يَتَّقُونَ ۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
অর্থাৎ, আর পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক বই আর কিছুই নয় এবং যারা সাবধানতা অবলম্বন করে, তাদের জন্য পরকালের আবাসই শ্রেয়, তোমরা কি (তা) অনুধাবন কর না? (আনআমঃ ৩২)
تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا ۚ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ
অর্থাৎ, এ পরলোকের আবাস; যা আমি নির্ধারিত করি তাদেরই জন্য যারা এ পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। সাবধানীদের জন্য শুভ পরিণাম। (কাসাসঃ ৮৩)
দারুল হায়াওয়ানঃ
দারুল হায়াওয়ান’ মানে চিরজীবনের ঘর। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَا هَٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَهْوٌ وَلَعِبٌ ۚ وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ ۚ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ, এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পারলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন; যদি ওরা জানত। (আনকাবুতঃ ৬৪)
দারুল ক্বারারঃ
‘দারুল ক্বারার মানে স্থায়ী-গৃহ। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
يَا قَوْمِ إِنَّمَا هَٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَإِنَّ الْآخِرَةَ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ
অর্থাৎ, হে আমার সম্প্রদায়! এ পার্থিব জীবন তো অস্থায়ী উপভোগের বস্তু। আর নিশ্চয় পরকাল হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস। (মু’মিনঃ ৩৯)
আল-মাকামুল আমীন
‘আল-মাক্বামুল আমীন’ মানে নিরাপদ স্থান। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٍ
অর্থাৎ, নিশ্চয় সাবধানীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে। (দুখান : ৫১)
মাক্বআদু স্বিদক্বঃ
‘মাক্বআদু স্বিদক মানে যথাযোগ্য আসন। এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেন,
فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِرٍ
অর্থাৎ, সাবধানীরা থাকবে জান্নাতে ও নহরে। যথাযোগ্য আসনে, সার্বভৌমক্ষমতার অধিকারী সম্রাটের সান্নিধ্যে। (ক্বামারঃ ৫৫)
তুবাঃ
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “ঐ বান্দার জন্য ‘তুবা’ যে আল্লাহর পথে নিজের ঘােড়ার লাগাম ধরে প্রস্তুত আছে। যার মাথার কেশ আলুথালু, যার পদযুগল ধূলিমলিন। তাকে পাহারার কাজে নিযুক্ত করলে, পাহারার কাজে নিযুক্ত থাকে। আর তাকে সৈন্যদলের পশ্চাতে (দেখাশোনার কাজে) নিয়োজিত করলে, সৈন্যদলের পশ্চাতে থাকে। যদি সে কারো সাক্ষাতের অনুমতি চায়, তাহলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয় না এবং কারো জন্য সুপারিশ করলে, তার সুপারিশ গ্রহণ করা হয় না।” (বুখারী ২৮৮৭, মিশকাত ৫ ১৬ ১নং)