যারা অসুস্থতা, ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবোত্তর নাপাকি কারনে আরাফার রোজা রাখতে পারেবেন না তাদের জন্য সুসংবাদ

 

যারা অসুস্থতা, ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবোত্তর নাপাকি কারনে আরাফার রোজা রাখতে পারেবেন না তাদের জন্য সুসংবাদ

প্রবল ইচ্ছা থাকার পরও 🔹যারা অসুস্থতা, ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবোত্তর নাপাকি অথবা কোন প্রতিবন্ধকতার কারণে আরাফার রোজা রাখতে পারবেন না✅ তাদের জন্য সুসংবাদ!🔹

🔵আরাফার দিনের একটি রোজার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা পেছনের এক বছরের এবং সামনের এক বছরের (মোট দু বছরের ছোট) গুনাহ মোচন করেন। কিন্তু যদি কারো রোজা রাখার নিয়ত থাকার পরও অসুস্থতা, ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবোত্তর নাপাকি, সফর অথবা বিশেষ কোন প্রতিবন্ধকতার কারণে উক্ত দিন রোজা রাখা সম্ভব না হয় তাহলে আল্লাহ তার আমল নামায় রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন। 

🔴কেননা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

 إذَا مَرِضَ العَبْدُ، أوْ سَافَرَ، كُتِبَ له مِثْلُ ما كانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا

"বান্দা যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে যায় তাহলে সে সুস্থ ও আবাস অবস্থায় যে আমল করত মহান আল্লাহ তাকে তার সমপরিমাণ সওয়াব দান করেন।” [সহিহ বুখারি]

🔴 আরেকটি সুসংবাদ;⬇⬇

❖ কেউ যদি রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ার ইচ্ছা থাকার পরে প্রবল ঘুমের কারণে ঘুম থেকে উঠতে না পারে তাহলে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার!

🔵আয়েশা রা. বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

 مَا مِنِ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلَاةٌ بِلَيْلٍ ، يَغْلِبُهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ ، إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلَاتِهِ ، وَكَانَ نَوْمُهُ عَلَيْهِ صَدَقَةً

“এমন কোন ব্যক্তি নেই, যার রাতে সালাত আদায়ের অভ্যাস ছিল অতঃপর তার ওপর ঘুম প্রবল হল, আল্লাহ তার জন্য অবশ্যই সালাতের সওয়াব লিখবেন আর তার ঘুম হবে তার জন্য সদকা।”

[নাসায়ি: (১৭৮৪), আবু দাউদ: (১৩১৪), মালেক ফিল ‘মুয়াত্তা’: (১/১১৭), আলবানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন, দেখুন: সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/৩৮৬), ও ‘ইরওয়াউল গালিল’: (২/২০৫)]

 🔵আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

 مَن أتى فراشَه وَهوَ ينوي أن يقومَ يصلِّي منَ اللَّيلِ ، فغلَبتهُ عيناهُ حتَّى أصبحَ كُتِبَ لَه ما نَوى وَكانَ نومُهُ صدقةً عليهِ من ربِّهِ ، عزَّ وجلَّ

“যে ব্যক্তি রাতে উঠে সালাত আদায় করার নিয়ত করে বিছানায় এলো কিন্তু প্রবল ঘুমের কারণে ভোর হয়ে গলো তার নিয়ত অনুযায়ী সওয়াব লেখা হবে। আর তার ঘুম হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সদকা স্বরূপ”। 

[নাসায়ি: (৬৮৭), আলবানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন, দেখুন: ‘ইরওয়াউল গালিল’: (৪৫৪) ও সহিহ সুনানে নাসায়ি: (১/৩৮৬)]

 সুবহানাল্লাহ! বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া ও মমতা কতই না বেশি! নিশ্চয় তিনি পরম দয়ালু ও মহান দাতা।

-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব.

আরাফার রোজা কোন দিন রাখতে হবে,আরাফার রোজা,আরাফার রোজার ফজিলত,আরাফার রোজা কবে,আরাফার রোজা কোন দিন,আরাফার দিনের রোজা,আরাফার রোজা রাখার নিয়ম,আরাফার দিন রোজা রাখার ফজিলত,আরাফার দিন কবে,আরাফার রোজা কয়টি,আরাফার রোজা রাখার নিয়ম,আরাফার রোজা কোন দিন রাখতে হবে ২০২২,আরাফার রোজা কয়টি,আরাফার রোজা বাংলাদেশে কোন দিন রাখতে হবে,আরাফার দিনের ফজিলত,আরাফার রোজা কখন রাখতে হবে,বাংলাদেশে আরাফার রোজা কবে,আরাফার রোজা কোন দিন রাখতে হয়,আরাফার দিন,আরাফার রোজা ফজিলত