সিলেট বাসিকে কে কত টাকার ত্রান দিছে
সিলেট বাসিকে কে কত টাকার ত্রান দিছে
এমন নিভৃতচারী প্রতিটি ডোনার এক একজন সুপার হিরো ❤
➡️ব্যারিস্টার সুমন ৭০ লক্ষ টাকা
➡️আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ ৫০ লক্ষ টাকা
➡️ তাসরিফ খান ১৬ লক্ষ টাকা
⏩অনন্ত জলিল ৩০ লক্ষ টাকা
➡️ ফারাজ করিম চৌধুরী ২০ লক্ষ টাকা
⏩তৌহিদ আফ্রিদি নগদ ১০ লক্ষ + ১৫ হাজার পরিবারের খাবার।
➡️ হাসান আল আযহারী ১৩ লক্ষ টাকা
➡️ মোস্তফা রহিম আযহারী ও মহিউদ্দিন তানভীর ১৩ লক্ষ টাকা , মানবতার ফেরিওয়ালা ফ্রি মোশন ফিরোজ হাসান ভাই. হৃদয় আহমেদ শান্ত,ফাহিম চৌধুরী.স্বপ্না(আমরাও মানুষ).শায়খ আহমাদুল্লাহ আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন,বিন্যানন্দ সহ আরো অনেকেই আছেন ❤️
তারা নিজ উদ্যোগে মোট ২কোটি ২২লক্ষ টাকার ত্রান সহযোগিতা দিচ্ছেন। সিলেটবাসী আজীবন উনাদের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকবেন।
এমন অনেক মানুষ আছে তাদের নাম জানা নেই,তারাও তাদের সাধ্যমতো অক্লান্ত পরিশ্রম করে সিলেট বাসিদের জন্য কাজ করেছেন।🖤
মানুষের পাশে দাঁড়াতে হলে এমপি মন্ত্রী হতে হয়না তা আবারও দেখিয়ে দিলেন তারা 👍
অফুরন্ত ভালোবাসা ও সম্মান আপনাদের প্রতি❣️
তথ্যঋণঃ রকমারি
প্রতিদিন সিলেটের দূর্গম এলাকায় যাচ্ছি এবং যা কিছু প্রয়োজন তার সামান্য হলেও পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
সবাই যার যার অবস্থান থেকে কিছুটা এগিয়ে আসলেই বন্যার্ত মানুষগুলো অনেকটা ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ।
-------------------------------------------------------
অনেক যায়গায় দেখলাম মহাসড়কের উপরেই খাবার বিতরণ করা হচ্ছে, এবং রান্না করা খাবার অনেকে একাধিকবার নিয়ে সম্পূর্ণ খেতে না পেরে খাবার নষ্টও করছে,
অথচ দূর্গম অঞ্চলে অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছে,
ঘরে চুলা জালানো তো দূরের কথা - পানির টিউবওয়েলের উপর দিয়ে বন্যার পানি থই থই করছে......
ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ফান্ড কালেক্ট করেছে৷ তাসরিফ খান জোগাড় করেছে ১৬ লক্ষ টাকা৷ ফারাজ করিম চৌধুরী ১০ লক্ষ টাকা৷ শায়েখ আমানুল্লাহ ও শায়েখ সাইফুল্লাহ ১০ ট্র্যাক ত্রাণ পাঠিয়েছে৷
হাসান আল আযহারী ১৩ লক্ষ টাকা৷ বিদ্যানন্দ প্রতিদিন ৩০০০ মানুষকে রান্না করে খাওয়াচ্ছে, ব্র্যাক কয়েক হাজার পরিবারের পুর্নাবাসনের কাজ শুরু করেছে,
আরও ছোট বড় উদ্যোগে বহু বাক্তি ও প্রতিষ্ঠান লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে সিলেটে পৌঁছে গেছে
উপরের প্রাপ্ত সকল অর্থ জোগাড় হয়েছে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে, অনলাইনে জনতার কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছে, প্রবাস থেকে এবং দেশের ভিতর থেকে বাংলাদেশীরা টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে, মাত্র ২-৩ দিনে এই কোটি কোটি টাকার অর্থ সাহায্য চলে এসেছে
গ্রাউন্ড লেভেলে সেচ্ছাসেবীর ভাইয়েরা যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা হিরো, ফেসবুকের পাতায়, পত্র পত্রিকায় তাদের জয়গান
কিন্তু যারা দূর প্রবাসে কিংবা দেশের অন্য প্রান্তে বসে কেবল মাত্র একটা ফেসবুক পোস্টের আহ্বানে নিজের কস্টার্জিত কামাই মুহুর্তের ভিতর সম্পুর্ন অচেনা একজনের একাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে ওদের খবর কেউ জানে না।
এমন ডোনার একজন দুইজন না, বহু বহু অজ্ঞাত বাংলাদেশী যাদের পরিচয় কেউ কোনদিন জানতে পারবে না।
ওরা কেউ ক্যামেরার সামনে আসে না, ওদের নাম ঠিকানা জানে না কেউ, ওদের কেউ সেলেব্রেটি ভাবে না।
ওরা নীরবে একদম অপরিচিত জনপদের অচেনা মানুষের মহা বিপর্যয়ে একদম অপরিচিত একাউন্টে নিজের কামাই পাঠিয়ে দিয়ে চুপটি করে বসে থাকে।
ওরা রানা প্লাজায় সাহায্য করে, ওরা সীতাকুণ্ডে সাহায্য করে, ওরা শীতার্তদের কম্বল দেয়, ওদের পাঠানো অর্থে লক্ষ লক্ষ এতিম পড়াশুনার সুযোগ পায়, দুইবেলা পেট পুড়ে খেতে পায়, চিকিৎসার সুযোগ পায়, কর্মসংস্থান হয়, ওরা ঘুর্নিঝড়ে ভেঙ্গে পড়া ঘর আবার বানিয়ে দেয়, সিলেটের বন্যায় লক্ষ মানুষের বুকে আশার বাতি জ্বালিয়ে রাখে।
ওরা আছে বলেই আসমান ভেঙ্গে ঝড়ে আটকা পড়া বিপদগ্রস্ত মানুষ ভরসায় বুক বাঁধে- আসবে, কেউ একজন আমাদের জন্য আসবে!