জুম্মার দিন সম্পর্কে ১০ টি হাদিস।। jummah dine 10 ti hadis
জুম্মার দিন সম্পর্কে ১০ টি হাদিস।। jummah dine 10 ti hadis
(১) নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,জুমুআর দিন সকল দিন অপেক্ষা উওম।
এ দিনে হযরত আদম আ.কে সৃষ্টি করা হয়েছে,
এবং এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন।আর এই দিনেই তিনি জান্নাত থেকে বের হন।
এবং এ দিনেই কিয়ামত হবে।(মুসলীম শরীফ খন্ড ১ পৃঃ২৮২)
(২) ইমাম আহমদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জুমার রাএির মর্যাদা কদরের রাএি অপেক্ষা অধিক।
কারন এ রাতে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্বীয় মাতৃগর্ভে আগমন করেছেন।
(আশিয়্যাতুল লুমাত খন্ড ২ পৃঃ ৬১৪)
(৩) নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
জুমার দিনের মধ্যে একটি মুহুর্ত এমন রয়েছে,
যদি কোন মুসলিম এ সময় আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করে তবে তা কবুল হয়ে যায়।
( বুখারী,পৃঃ ১২৮)
(৪) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
তোমাদের সকল দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিন উওম।এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে।
( আবু দাউদ শরীফ খন্ড ১ পৃঃ ১৫০)
(৫) নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, .
জুমার দিন সকল দিনের সর্দার এবং আল্লাহ পাকের নিকট
সর্বাপেক্ষা সম্মানিত এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক মর্তবার অধিকারী।
(ইবনে মাজাহ পৃঃ ৭৬)
(৬) নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন
, যে মুসলমান জুমআর দিন অথবা জুমআর রাএে মৃত্যুবরন করে,
আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আযাব থেকে নিরাপদ রাখেন।
( তিরমিযী খন্ড ১ পৃঃ ২০৫)
(৭) প্রতিদিন দ্বিপ্রহরের সময় জাহান্নামকে অধিক উওপ্ত করা হয়,
তবে জুমআর দিনে এরুপ করা হয় না। ( ইহায়াউল উলুম খন্ড ১ পৃঃ ২৮৬)
(৮) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বলেছেন,
যদি কোন ব্যাক্তি পর পর কয়েক জুমু'আ তরক করে,
তবে সে যেন ইসলামকেই তরক করল। (আশিয়্যাতুল লুমআত খন্ড ২ পৃঃ ৬১৯)
(৯) নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
জুম'আর রাএি হলো একটি শুভ্র( নির্মল) রাত এবং জুমআর দিন হলো উজ্জল দিন।
( মিশকাত শরীফ পৃঃ ১২১)
(১০) কিয়ামতের পরে আল্লাহ তায়ালা যখন জান্নাতের অধিকারীদের জান্নাতে
এবং জাহান্নামের উপযুক্তদের জাহান্নামে পাঠাবে সে দিনটিও হবে জুম্মার দিন।
জুম্মার দিন সম্পর্কে ১০ টি হাদিস।।